আমরা যারা চাকরি করি তাদের সব থেকে কষ্টকর ও বিরক্তিকর ব্যাপার হলো প্রতিদিন সকালে উঠে রুটি বানানো। দেখা যায় এই ঝামেলা এড়াতে বেশির ভাগ সময়ই ভাত খেয়ে বা বাইরে থেকে অস্বাস্থ্যকর নাস্তা করতে হয়। আবার অনেক বাসায় দেখা যায় বাবা-মা বা শ্বশুর-শ্বাশুরীর কেউ একজনের ডায়াবেটিস আছে। তাই রুটিটা বাধ্যতামূলকভাবে করতেই হয় রোজ। কিন্তু চাকরী করি বা গৃহিণীই হইনা কেনো রোজ রোজ রুটি বানানোর ঝক্কি সবার খুব একটা ভালো লাগে না। তাই খুব সহজ একটা সমাধান নিয়ে আজ এসেছি। আপনারা আমার পদ্ধতি অনুসরণ করে এক সপ্তাহের রুটি একদিনে বানিয়ে রেখে দিতে পারবেন। যখন ইচ্ছা বা দরকার পরবে বের করে শেকে নিলেই হয়ে গেলো। শুধু লাগবে একটা ফ্রিজ।

প্রনালী

– পানি ফুটিয়ে তাতে খুব সামান্য তেল দিয়ে দিন। এবার ময়দা দিয়ে সেদ্ধ করে ময়ান করে রুটি বেলে নিন। তারপর রুটিগুলিকে গরম তাওয়াতে এপাশ ঐপাস ছেকে নিন। এবার সবগুলি রুটিকে অল্প সময়ে পাতলা কাপড়ের উপর ছড়িয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা করে (একটার উপর কিচেন টিস্যু বা কাগজ জড়িয়ে তার উপর আরেকটা রাখবেন) বড় বাটিতে রেখে ভাল করে বাটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন ও নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। বাজারে পার্চমেন্ট পেপার কিনতে পাওয়া যায়, টিস্যুর বদলে সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফ্রিজের ময়ান দেয়া আটা দিয়ে নরমাল রুটির চেয়ে পরোটা, নান রুটি বেশি ভালো হয়। তাই নাস্তায় ভিন্নতা আন্তে মাঝে মধ্যে এই সব প্রিপারেশনগুলোও ট্রাই করতে পারেন। প্রতিদিন রুটি বানানোর সময় একটু তেল দিলে ময়ানটা ভাল হয়।

*** মনে রাখবেন ময়ান ভাল হলে রুটি বানাতেও সুবিধা আর রুটিও সুন্দর নরম হয়। এবার রুটিগুলো কোনো কিছুর ওপর ছড়িয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠাণ্ডা করে বড় বাটিতে রেখে ভালো করে বাটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন ও নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। এবার যখন রুটি ভাজবেন তখন ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।