দুবাই ভিত্তিক এমিরেটস এয়ারলাইন বিশ্বের সর্বাধুনিক দ্বিতল এয়ারবাস এ৩৮০ পরিচালনার ১০ বছর সম্পন্ন করে। ২০০৮ সালের ১ আগস্ট দুবাই-নিউইয়র্ক রুটে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার পর থেকে গত ১০ বছরে এয়ারলাইনটির এ৩৮০ উড়োজাহাজে ১০.৫ কোটির অধিক যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। এ সময় উড়োজাহাজগুলো ১৫০ কোটি কিলোমিটার অতিক্রম করেছে, যা পৃথিবীকে ৩৯ হাজার বার পরিক্রমা করার সমতুল্য। বর্তমানে ১০৪টি এ৩৮০ নিয়ে এমিরেটস বিশ্বে এ জাতীয় উড়োজাহাজের বৃহত্তম বহরের অধিকারী, উপরন্তু অর্ডার রয়েছে আরো ৫৮টির। এই উড়োজাহাজগুলোর সাহায্যে এয়ারলাইনটি ৬টি মহাদেশের ৪৯ শহরে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং প্রতিদিন দুবাই থেকে ৮০টি অধিক ফ্লাইট বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

এ৩৮০ এর সাহায্যে সবচেয়ে স্বল্প দূরত্বের (দুবাই-কুয়েত) এবং বিরতিহীন দীর্ঘতম দূরত্বের (দুবাই-অকল্যান্ড) ফ্লাইট পরিচালনার কৃতিত্বও এমিরেটসের। এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক বলেন,“প্রথম এ৩৮০ ফ্লাইট টেক-অফ করার পর আমরা অসাধারণ ১০টি বছর পার করেছি। আজ বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের মধ্যে এই ফ্লাইটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। উড়োজাহাজটির ভিতরে প্রচুর জায়গা থাকার কারণে এর সকল শ্রেণীতেই ভ্রমণ যথেষ্ট আরামদায়ক। এ ছাড়াও রয়েছে বহুল আলোচিত অন-বোর্ড লাউঞ্জ, শাওয়ার স্পা এবং এর প্রথম শ্রেণীতে বিলাসবহুল স্যুইট।

আমরা যাত্রীদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” নিয়মিত ফ্লাইট ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব উদযাপন ও অন্যান্য প্রয়োজনে ৭৩টি বিমানবন্দরে একবারের জন্য বিশেষ এ৩৮০ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে এমিরেটস। ২০১৩ সাল থেকে এয়ারবাস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এয়ারলাইনটি দূর্গত মানুষের সহায়তায় বিশ্বের বিভিন্নস্থানে ১২০ টনের অধিক ত্রাণ সামগ্রী পরিবহন করেছে। এ৩৮০ বহর পরিচালনার জন্য এমিরেটসের রয়েছে ১,৫০০ ফ্লাইট ডেক ক্রু এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ২০ হাজারের অধিক কেবিন ক্রু। এমিরেটস এয়ারলাইনের প্রকৌশল শাখা এ৩৮০ উড়োজাহাজগুলোর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। দুবাইয়ে অবস্থিত বিশেষায়িত স্থাপনা থেকে এ জাতীয় উড়োজাহাজগুলোর পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও ওভারহল সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ১৫৭টি এ৩৮০ উড়োজাহাজের সি-চেক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৩ সালে এ৩৮০ উড়োজাহাজের জন্য স্বতন্ত্র কনকোর্স (কনকোর্স-এ) চালু করা হয়। ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারে নির্মিত এই কনকোর্সে প্রথম ও বিজনেস শ্রেণীর যাত্রীরা বিলাসবহুল লাউঞ্জ থেকে সরাসরি উড়োজাহাজে আরোহন করতে পারেন।