পবিত্র ঈদুল আযহা আর কিছুদিন পরেই। আত্মত্যাগের চেতনায় বলীয়ান হয়ে পশু কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে পালিত হবে দিনটি। এর মধ্যে যে যার সাধ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন। যারা এখনো কিনেননি বা প্রথমবার পশু কিনবেন তাদের পশুর হাটে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পশুর হাটে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তা হলো –

*কুরবানির পশু ক্রয়ে অভিজ্ঞ এমন কোন লোককে সঙ্গে নিয়ে গেলে ভাল হয়।

*পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে পশুটি সুস্থ কিনা সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে পশু মোটাতাজা করণের জন্য অসাধু পন্থা অবলম্বন করে থাকে, তাই এ সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

*কুরবানির হাট-বাজারকে উপলক্ষ্য করে অনেক অসাধু ব্যক্তি (ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি) এদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তাই এ সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

*পশুর হাটে আহত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।

*গরুর শিং এর আঘাতে অথবা পায়ের লাথিতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। গরুর লেজের আঘাতে চোখে-মুখে সমস্যা হয়। বৃষ্টিভেজা মাঠে পা পিছলে আঘাতের ঘটনা ঘটে।

*দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে শরীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে বলে স্যালাইন, চা, শরবত বা পানীয় খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হবে কিছুক্ষণ।

*নগদ টাকা সঙ্গে রাখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। সম্ভব হলে পাশ্ববর্তী অনলাইন ব্যাংকিং, এ টি এম অথবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করুন।

*অপরিচিত লোকের দেওয়া কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

*পশুর হাটে অনেক দালালের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, ঝামেলা এড়াতে এদের এড়িয়ে চলুন।

*ঝামেলা এড়াতে পশু হাটের ভেতর থেকে বাহিরে নিয়ে আসতে রাখালের সহায়তা নিন।

*পশুর হাটে ছোট বাচ্চা, বয়স্ক ও অসুস্থ লোক না যাওয়াই ভাল।

*কোন ধরণের অসাধু লোকের খপ্পরে পরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। এর জন্য পূর্বে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফোন নাম্বার অথবা ইমারজেন্সি নাম্বার রাখতে পারেন।

আর অবশ্যই কুরবানির পর পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। গরুর মাংস রান্নার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেল, মশলা, চর্বি এড়িয়ে চলুন। মাংস থেকে চর্বি আলাদা করে কেটে ফেলুন। অতিরিক্ত চর্বি ও তেল, মশলা শরীরের ক্ষতি করে।

অতএব, সাবধান থাকুন, সুস্থ থাকুন। আনন্দের সঙ্গে পবিত্র দিনটি উদযাপন করুন।